Thursday, April 21, 2011
Page 5
হাবলু রাস্তা দিয়ে গাড়ি হাঁকিয়ে যাচ্ছে। একসময় রাস্তার লাল বাতি জ্বলে উঠল। কিন্তু হাবলুর থামার কোনো নামগন্ধ নেই। লাল বাতি পেরোতেই ট্রাফিক পুলিশ হাবলুকে থামিয়ে দিয়ে বললেন, ‘রাস্তায় লাল বাতি জ্বলে উঠেছে, দেখতে পারছেন না? লাল বাতি জ্বলে উঠলে যে থামতে হয় তাও জানেন না না কি!’ ‘লাল বাতি জ্বলে ওঠা তো দেখেছি, কিন্তু আপনি যে দাঁড়িয়ে ছিলেন এটা দেখতে পারিনি, স্যার।’ হাবলুর জবাব।
একটা গাধার বাচ্চা নিয়ে পল্টু ক্লাসে ঢুকেছে। শিক্ষক ক্লাসে গাধা দেখে রেগে অগ্নিশর্মা হয়ে বললেন, ‘কিরে পল্টু, ক্লাসে গাধা নিয়ে এসেছিস কেন?’ পল্টু মুখ কাঁচুমাঁচু করে বলল, ‘স্যার, আপনিই তো ক্লাসে গাধার কথা বলেছেন।’ শিক্ষক রেগে বললেন, ‘কী বেয়াদবের মতো কথা বলছিস! আমি কেন ক্লাসে গাধার কথা বলতে যাব?’ ‘আপনিই তো বলেছিলেন, আপনি এ জীবনে অনেক গাধাকে মানুষ করেছেন! তাই তো আমার এই গাধাটাকে মানুষ বানাতে আপনার কাছে নিয়ে এসেছি, স্যার।’ পল্টুর উত্তর।
বিল্টু ও শিক্ষকের মধ্যে কথা হচ্ছে—
শিক্ষক: বিল্টু, বল তো দেখি, বাস আর বাইসাইকেলের মধ্যে পার্থক্য কী?
বিল্টু: স্যার, বাস আর সাইকেলের মধ্যে খুব বড় একটা পার্থক্য আছে। আর এই পার্থক্যের দিক থেকে বাইসাইকেলই সবচেয়ে জুতসই বাহন মনে হয়।
শিক্ষক: পণ্ডিতি না করে শিগগির বলে ফেল।
বিল্টু: স্যার, পার্থক্যটা হলো—বাইসাইকেল চলার সময় তার স্ট্যান্ড সঙ্গে রাখে। কিন্তু বাস তার স্ট্যান্ডটিকে ফেলে রেখে যায়।
দেয়ালে সাঁটানো পোস্টার পড়াটা হাবলুর অভ্যাস হয়ে গেছে। রাতের বেলায় সড়কবাতির খুঁটির একটু ওপরে একটি পোস্টার দেখে থমকে দাঁড়াল হাবলু। কিন্তু বিদ্যুৎ না থাকায় সে কিছুতেই ওই পোস্টারটি পড়তে পারছিল না। সকাল হলে কেউ না কেউ পোস্টারটি ছিঁড়ে ফেলবে, এই ভয়ে সে ভাবল, খুঁটির ওপরে উঠে মোবাইলের আলো দিয়েই সে পোস্টারটি পড়বে। যেই ভাবা সেই কাজ। হাবলু তরতর করে ওই খুঁটির ওপরে উঠে গেল। খুঁটির ওপরে উঠেই মোবাইলের আলো জ্বালিয়ে হাবলু পোস্টারে পড়ল, ‘এই খুঁটিতে আজকেই নতুন রং করা হয়েছে। দয়া করে কেউ হাত দিবেন না।
মোখলেস চিকিৎসকের কাছে গিয়ে বলল, ‘পাড়ার কুকুরগুলো সারা রাত চিৎকার করে। গত দুই রাত আমার মোটেও ঘুম হচ্ছে না। ঘুমানোর একটা ব্যবস্থা করে দিন না, স্যার।’ চিকিৎসক ব্যবস্থাপত্রে একটি ওষুধের নাম লিখে দিয়ে বললেন, ‘একটা ওষুধ লিখে দিলাম, এটা ভালো কাজ করবে। সাত দিন পর এসে দেখা করে যাবেন।’ সাত দিন পর আবারও মোখলেস ওই চিকিৎসকের কাছে গেল। তাকে দেখে চিকিৎসক বললেন, ‘কী, এখন নিয়মিত ঘুম হয় তো?’
‘স্যার, অবস্থা তো আগের মতোই।’
‘বলেন কী? ওষুধ ঠিকমতো খাননি?’
‘কী যে বলেন, স্যার! আমি কেন ওষুধ খাব? আমি গত সাত দিন ধরেই কুকুরগুলোকে ওই ওষুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করলাম। কিন্তু একটি কুকুরকেও ওষুধ খাওয়াতে পারিনি।’ মোখলেসের উত্তর।
রাস্তার মোড়ে ‘গাড়ি ধীরে চালান’ লেখা সাইনবোর্ড দেখে গ্রাম থেকে আসা এক লোক আরেকজনকে জিজ্ঞেস করল, ‘আচ্ছা ভাই, কী ব্যাপার বলুন তো? রাস্তার মোড়ে “গাড়ি ধীরে চালান” লেখা সাইনবোর্ড বসানো কেন?’ ওই লোক বলল, ‘ভাই, আমি তো এই শহরে নতুন এসেছি। তবে মনে হচ্ছে, এই সাইনবোর্ডের আশপাশে কোনো হাসপাতাল নেই, তাই এই সাইনবোর্ড বসানো। গাড়ি জোরে চালালে কখন কোন দুর্ঘটনা ঘটে বলা যায়!’
বিল্টু গ্রামে তার মায়ের কাছে ফোন করেছে—
বিল্টু: মা, একটা সুখবর আছে।
মা: বলিস কি! তাড়াতাড়ি বলে ফেল।
বিল্টু: এখন থেকে আমরা দুই জন থেকে তিন জন হয়ে গেছি, মা।
বিল্টু: এই সুখবরটা এত দেরিতে বললি কেন? তা ছেলে না মেয়ে হয়েছে রে?
বিল্টু: ওসব কিছু না। আমার বউ আরেকটি বিয়ে করে ফেলেছে, মা ।
১ম বন্ধু: জানিস, বাড়ি থেকে পালিয়ে যেদিন নিশিকে বিয়ে করলাম, ঠিক সেদিনই জুতোর বাড়ি খেতে হল!
২য় বন্ধু: আমার ধারণা, এর পেছনে নিশ্চয়ই নিশির বাবার হাত ছিল!
১ম বন্ধু: না না, হাত নয়! ওটার(জুতা) মধ্যে নিশির বাবার পা ছিল!
একজন ফিজিসিস্ট, একজন বায়োলোজিস্ট আর একজন কেমিস্ট জীবনে প্রথমবারের মত সমুদ্র দেখতে গেলেন। যেহেতু তিনজনই জীবনকে উৎসর্গ করেছেন সায়েন্সের জন্য সুতরাং তিনজনই চাইলেন এই সমুদ্র নিয়ে গবেষনা করবেন।
যেমন চিন্তা তেমন কাজ। ফিজিসিস্ট সমুদ্রের বিশাল বিশাল সব ঢেউ মনযোগ দিয়ে দেখতে লাগলেন। ঢেউগুলো সব ভেঙ্গেচুরে এগিয়ে আসছে, তীরে পড়ে ভেঙ্গে যাচ্ছে নিজেই। তার হঠাৎই মনে হল এই ঢেউই তার গবেষনার বস্তু হতে পারে। বিশেষ করে ঢেউয়ের ফ্লুইড ডায়নামিক্স নিয়ে গবেষনা করলে বিশাল ফল উদ্ধার করা সম্ভব হতে পারে। সুতরাং তিনি রওয়ানা হলেন, ঢেউগুলোকে ভেঙ্গে দিয়ে কিন্তু একসময় নিজেই হারিয়ে গেলেন ঢেউয়ের আড়ালে। ফিরলেন না আর।