Thursday, April 21, 2011
Page 3
বিশালদেহী এক লোক দর্জির দোকানে গিয়ে কাপড় বের করে দিয়ে দর্জিকে শেরওয়ানি বানানোর জন্য মাপ নিতে বলল। দর্জি মাপ নিয়ে বলল‘ ভাই, এই শেরওয়ানি সেলাই করতে কিন্তু ২০০ টাকা লাগবে । বিশালদেহী বলল‘ কিন্তু আপনি সাইনবোর্ডে যে লিখে রেখেছেন শেরওয়ানি সেলাই ১০০ টাকা। আমার কাছে ২০০ টাকা চাচ্ছেন কেন? আমাকে বোকা পেয়েছেন নাকি দর্জি গায়ের ঘাম মুছতে মুছতে বলল,সাইনবোর্ডে আপনি ঠিকই দেখেছেন। শেরওয়ানি সেলাই করতে খরচ ১০০ টাকাই। কিন্তু একটা শামিয়ানা সেলাইয়ের জন্য আমরা ২০০ টাকা নিই। আপনার যে মাপ নিয়েছি, এই মাপে তো আমরা শামিয়ানা সেলাই করি, ভাই।
বাবা-ছেলের মধ্যে কথা হচ্ছে—
ছেলে: আমাকে একটা হারমোনিয়াম কিনে দাও না, বাবা।
বাবা: দিতে পারি, তবে এক শর্তে।
ছেলে: কী শর্ত।
বাবা: তোমাকে ওয়াদা করতে হবে যে তুমি হারমোনিয়াম নিয়ে আমাকে কোনো রকম বিরক্ত করতে পারবে না।
ছেলে: একদম বিরক্ত করব না, বাবা। সারা দিন আমি বাজাবই না। তুমি ঘুমিয়ে গেলেই আমি হারমোনিয়াম বাজাব।
তিন বন্ধু একটি মোটরসাইকেলে চড়ে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছে। কিছুদূর যাওয়ার পর ট্রাফিক তাদের থামিয়ে দিয়ে বলল, ‘একটি মোটরসাইকেলে তিনজন ওঠা আইনত অপরাধ, এটা আপনারা জানেন না?’ ‘জানি’, জবাব দিল একজন। ট্রাফিক রেগে বলল, ‘জানেন তো একটি মোটরসাইকেলে তিনজন উঠেছেন কেন?’ ‘জেনেশুনে অপরাধ করব না বলেই তো আমাদের একজনকে বাসায় রেখে আসতে যাচ্ছি, স্যার।’
দূরের বস্তু দেখতে সমস্যা হওয়ায় রঞ্জু বাবার কাছে চশমা বানানোর বায়না ধরেছে। বাবা বললেন, ‘চোখে তোর সমস্যাটা কী, সেটা আগে খুলে বল?’ রঞ্জু বলল, ‘আমি দূরের বস্তু একদমই স্পষ্ট দেখতে পারি না, বাবা।’ এ কথা শুনে বাবা রঞ্জুর হাতটা ধরে একদম ঘরের বাইরে বের করে নিয়ে এলেন। এরপর আকাশের দিকে তাকিয়ে বাবা রঞ্জুকে বললেন, ‘দেখ তো, আকাশের একদম শেষ সীমানায় কী দেখা যায়?’ রঞ্জু জবাব দিল, ‘ওটা তো সূর্য, বাবা।’ বাবা রেগে বললেন, ‘ওই ফাজিল, আর কত দূরের জিনিস তুই দেখতে চাস, বল?’
মকবুল হোটেল ম্যানেজারের সঙ্গে ফোনে কথা বলছে—
মকবুল: দয়া করে তাড়াতাড়ি ৫০৬ নম্বর কক্ষে চলে আসুন।
হোটেল ম্যানেজার: কেন, সমস্যা কী?
মকবুল: আমার স্ত্রী জানালা দিয়ে লাফ মেরে আত্মহত্যা করতে চাচ্ছে।
হোটেল ম্যানেজার: আপনি স্বামী হয়ে কিছু করছেন না। আর আমি হোটেল ম্যানেজার হয়ে কী করতে পারি, বলুন?
মকবুল: আরে ভাই, এখন কথা বলার সময় নয়। তাড়াতাড়ি চলে আসুন। কারণ, আমার স্ত্রী কিছুতেই জানালা খুলতে পারছে না। জানালাটা খুলে দিয়ে যান।
একটি স্কুলে ছোট ছেলেমেয়েদের কাছে জানতে চাওয়া হলো ভবিষ্যতে কে কোন যানবাহন কিনতে চায়। কেউ বললো গাড়ি, কেউ বললো সাইকেল, কেউ বললো হোন্ডা, শুধু একজন বললো যে সে নাকি রকেট কিনতে চায়। শিক্ষক জানতে চাইলেন, "তুমি রকেট কিনতে চাও কেন?"
ছাত্র: তাহলে আমাকে কখনোই ট্রাফিক জ্যামে পরতে হবে না।
জজ: চুরি একটি খারাপ পেশা। তুমি এ পেশায় কেন এলে?
চোর: আপনাদের কথা ভেবে।
জজ: আমাদের কথা ভেবে মানে?
চোর: মানে সমাজে কোন চোর ডাকাত না থাকলে কোন অপরাধ থাকতো না ফলে কোন জজও থাকতো না এবং আপনার মত সকল জজরা গরীব হয়ে যেতেন।
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা হচ্ছে—
স্ত্রী: শোনো, তোমার বন্ধু যে মেয়েটিকে বিয়ে করতে যাচ্ছে ওই মেয়ে কিন্তু অতোটা ভালো নয়।
স্বামী: এতে আমার সমস্যাটা কী?
স্ত্রী: আরে, জেনেশুনে তোমার বন্ধু খারাপ মেয়েকে বিয়ে করবে! তুমি তাকে নিষেধ করছো না কেন?
স্বামী: আমি কেন তাকে নিষেধ করবো! আমি যখন বিয়ে করি তখন তো সে আমাকে নিষেধ করে নি।
ঘরের ভেতর হাবলু ও তার স্ত্রী কথা বলছে। স্ত্রী ধীরে ধীরে বলল, ‘অ্যাই শোনো, আমাদের তো কোনো ছেলেপুলে নেই। তাই ভাবছি আমার নামে যত সম্পত্তি আছে সবগুলো কোনো সাধু বাবাকে দান করে দেব।’ কথাটা শুনেই হাবলু ঘর থেকে বের হয়ে এক ছুট। স্ত্রী খপ করে হাবলুর হাত ধরে বলল, ‘তুমি যাচ্ছ কোথায়? আমার চিন্তাটা সম্পর্কে কিছু একটা বলে যাও।’