Thursday, April 21, 2011
Page 17
ছেলেঃ আম্মু, একটা কাগজ দাও তো, বাবার নামটা লিখে দেয়ালে টানিয়ে রেখে দিই।
মাঃ কেন রে! তোর বাবার নাম দেয়ালে টানাতে হবে কেন?
ছেলেঃ না, যদি ভুলে যাই।
মাঃ ভুলে যাবি মানে? বাবা-মা’র নাম কেউ ভোলে?
ছেলেঃ আজ পড়া পারিনি বলে বাবা বললেন- এক থাপ্পড়ে তোর বাবার নাম ভুলিয়ে দেব। তাই•••
তিনজন নিরক্ষর কর্মচারী বসে গলপ্প করছিল।
প্রথম জনঃ হুনছোনি, আমাগো বড় স্যার মইরা গেছে গা।
দ্বিতীয় জনঃ হ, হাটফেল কইরা নাকি মরছে।
তৃতীয় জনঃ আহা রে, সারাজীবন স্যার কত বড় বড় পরীক্ষায় পাস করল আর মরার সময় ফেল করল!
দামি পোশাক পরা এক ভদ্রলোকের পকেটে এক পকেটমার হাত দিলেন। ভদ্রলোক পকেটমারকে ধরে ফেললেন -
ভদ্রলোকঃ ছিঃ তোমার লজ্জা করে না? আমার পকেটে হাত ঢুকিয়েছ? আমি তোমাকে পুলিশে দেব।
পকেটমারঃ স্যার, লজ্জা তো আপনার হওয়া উচিত। এমন দামি পোশাক পড়ে আছেন, অথচ পকেটে একটি টাকাও নেই।
দুই বোকার মধ্যে কথা হচ্ছে-
১ম বোকা: তুই কি জানিস, অত বড় বিমান কিভাবে রং করে ?
২য় বোকা : না তো খীভাবে হতে পারে ?
১ম বোকা: আরে গাধা, বিমানে উপরে উঠে গেলে যখন ছোট দেখায় তখন এক টানে রং করে দেয় ।
দুই বন্ধুর মধ্যে কথা হচ্ছে-
১ম বন্ধুঃ তুই আমার বাড়িতে মাসখানিক আছিস, তোর পরিবার চিন্তা করবে না?
২য় বন্ধুঃ তা আবার করবে না। আজই চিঠি লিখে সবাইকে তোর বাসায় আসতে বলব।
স্বামী তার স্ত্রীকে খুশি করার জন্য একদিন রান্না করার সিদ্ধান্ত নিলেন। কিন্তু তিনি তা করতে পারছেন না। এক পর্যায়ে স্বামীর রেসিপির ডিরেকশন অনুযায়ীই তো রান্না করছি, কিন্তু রান্না হচ্ছে না কেন?
স্ত্রীঃ রান্না হবে কি করে? তুমি তো আগুনই জ্বালাওনি।
স্বামীঃ কিন্তু এটা তো রেসিপিতে লেখা নেই।
স্কুলে দুই ছাত্র মারামারি করছে। তা দেখে
শিক্ষক- মারামারি কর না। তোমরা শিখবে বন্ধুত্ব। আগে দেবে, পরে নেবে।
ছাত্রঃ আপনি বলার আগেই আমি তা করেছি স্যার। ওকে প্রথমে একটা ঘুষি দিয়েছি। তারপর ওর লাথিটা আমি নিয়েছি।
দুই বন্ধুর মধ্যে কথা চলছে-
১ম বন্ধুঃ আচ্ছা বন্ধু, ব্যর্থ প্রেমিক বলতে কি বুঝিস।
২য় বন্ধুঃ তোর কথাই ধর। তুই যাকে পছন্দ করতিস সেই মেয়ে এখন আমার স্ত্রী।
স্বামীর কাছে আক্ষেপ করে স্ত্রী বলছে-
:তুমি তো আমার দুঃখ কিছুই বুঝলে না। আমি নীরবে মাসের পর মাস তোমার সংসারের সব যন্ত্রণা সহ্য করে যাচ্ছি।
:নীরবে? তাহলে ফোনে এত বিল উঠল কী করে, শুনি?
সিনেমা হলে সামনের সিটে নব দম্পতি্ কেবল বকবক করেই যাচ্ছিল। পেছনের সিটের ভদ্রলোক অনেকক্ষণ উসখুস করে অবশেষে বললেন-
:মাফ করবেন, আমি কিন্তু একটা কথাও শুনতে পাচ্ছি না।
স্বামীটি তখন রেগে গিয়ে বললেন-
:আমাদের স্বামীর-স্ত্রীর মধ্যে কথা হচ্ছে। আপনার আবার শোনার কী আছে সাহেব?
জীববিজ্ঞান ক্লাসে শিক্ষক এক ছাত্রকে জিজ্ঞেস করলেন-
শিক্ষকঃ মিঠু, বল তো, হাসপাতালে ডাক্তাররা যখন কোনো রোগীর অপারেশন করেন, তখন ডাক্তাররা নিজেদের মাথা-মুখ কাপড় দিয়ে ঢাকেন কেন?
ছাত্রঃ অপারেশনের সময় কোনো ভুল-ত্রুটি করে ফেললে রোগী যাতে কোনো অবস্থাতেই বুঝতে না পারে, কোন ডাক্তার এটা করেছেন- সেই জন্য স্যার!
এক লোক তার এক পরিচিতের কাছে কিছু টাকা পাবেন। কিন্তু বাসায় এসে তাকে পান না। এবার একটু কৌশলের আশ্রয় নিয়ে অনেকক্ষণ কলিংবেল চাপলেন। বের হলেন এক ভদ্রমহিলা।
ভদ্রমহিলাঃ কী চাই?
আগন্তুকঃ আপনার স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে এসেছি। উনি কি বাসায় আছেন?
ভদ্রমহিলাঃ কেন, বলুন তো?
আগন্তুকঃ না, মানে সামান্য কিছু টাকা•••
ভদ্রমহিলাঃ ও তো বাসায় নেই। গতকাল বিকেলে মেয়ের বাসায় বেড়াতে গেছে।
আগন্তুকঃ মানে, ওনার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নিয়েছিলাম তো, সেটা শোধ করতে এসেছিলাম•••
ভদ্রমহিলাঃ ও! তাই, কাল মেয়ের বাসায় ও গিয়েছিল ঠিকই, কিন্তু রাতেই আবার চলে এসেছে। আপনি বসুন, আমি ডেকে দিচ্ছি।
১ম বন্ধুঃ তোকে যে টিয়া পাখি পাঠিয়েছিলাম, সেটা কেমন লাগল?
২য় বন্ধুঃ দারুন সু-স্বাদু ছিল।
১ম বন্ধুঃ বলিস কি? আমি ওটা ৫০০ টাকা দিয়ে কিনেছিলাম। ওটা ৭টা ভাষায় কথা বলতে পারত
২য় বন্ধুঃ তাহলে জবাই করার সময় কিছু বলল না কেন?
১ম ব্যক্তিঃ ছয় তলা থেকে দু’জন ব্যক্তি পড়ে গেল, কিন্তু কেউই আহত হল না!
২য় ব্যক্তিঃ এও কী সম্ভব!
১ম ব্যক্তিঃ সম্ভব, কারণ তারা দু’জন নিহত হয়েছিল।
শুভ: আচ্ছা রন্টি, হরিণের চামড়া তো দেখেছিস, কিন্তু হাতির চামড়া দেখাতে পারবি?
রন্টি: কেন পারব না!
শুভ: সে কী! কোথায়?
রন্টি: কেন, চিড়িয়াখানায়, হাতির গায়ে।