Thursday, April 21, 2011
Page 16
জনাকীর্ণ আদালত প্রাঙ্গন। বিচারকাজ চলছে। যাবতীয় সাক্ষ্য-প্রমাণ গ্রহণ সম্পন্ন। আসামী কাঠগড়ায় দাঁড়ানো, খুনের মামলায় অভিযুক্ত এবং প্রমাণিত।
আসামীর দিকে তাকিয়ে বিচারক বললেন, " তুচ্ছ একটি বিষয় নিয়ে তুমি ঝগড়ার এক পর্যায়ে তোমার বউকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেছ।" হঠাৎ দর্শকদের মাঝে একজন চিৎকার করে বলল, "শালা, বদমাশ!" বিচারক ভ্রু কুঁচকে কিছুক্ষণ চুপ করে থাকলেন তারপর আবার বললেন, "স্ত্রীকে হত্যা করার সময় বাঁধা দিতে তোমার শাশুড়ি আসলে তাকেও তুমি হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছ।' আবারও দর্শকদের মাঝ থেকে ঐ একই লেকের চিৎকার, "শালা, বদমাশ!" বিচারক এবার চিৎকার করে ওঠা লোকটির দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকেন তারপর আবার বলেন, "পরপর দুটো ক্ষুণের দৃশ্য দেখে ফেলায় তুমি ঐ একই হাতুড়ি দিয়ে তুমি তোমার কাজের লোককেও নৃশংসভাবে হত্যা করেছ।" সঙ্গে সঙ্গে দর্শকদের মাঝে ঐ একই লোকের আরও জোরে চিৎকার করে বলেন, "শালা, বদমাশ!" এবার আর বিচারক চুপ থাকতে পারলেন না। চিৎকার করে ওঠা লোকটির দিকে তাকিয়ে বর্জ্র কন্ঠে বললেন, "আমি আপনার রাগের কারণ বুঝতে পারছি না অভিযুক্ত আসামীর যথাযথ সাজা হবে। কিন্তু আপনার মনে রাখা উচিৎ এটা আদালত।" আর এক বার আপনি যদি চিৎকার করেন তাহলে আপনার উপর আইনানুগ ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
বিচারকের সাবধানবাণী শুনে লোকটি বসা থেকে উঠে দাঁড়াল। তারপর এক পলক আসামীর দিকে তাকিয়ে বিচারকের দিকে ফিরে বললেন, "মহামান্য বিচারক, ওই শালা বদমাশ তিনটি খুন করেছে সেজন্য আমি ওকে গালি দেই নি। "তাহলে কেন"-বিচারক অবাক হয়ে প্রশ্ন করলেন। তারপর লোকটি বলল, "আমি গত ৮ বছর ধরে ওই শালা বদমাশটার প্রতিবেশী, যতবারই আমি ওর কাছে একটা হাতুড়ি ধার করার জন্য গেছি সে প্রতিবারই বলেছে তার কাছে হাতুড়ি নেই!
আবুল ছোটকাল থেকেই আব্বু আম্মুর সঙ্গে আমেরিকা থাকছে। একদিন তার বাবা এক কম্পিউটারের দেকান থেকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির একটা রোবট কিনে আনলেন।রোবটটার বৈশিষ্ট্য হল এটা মিথ্যা কথা সনাক্ত করতে পারে। বাসায় ফিরেতো আবুল রোবট দেখে মহা খুশি। কিন্তু বাবার সামনে পড়তেই বাবার প্রশ্ন,
কোথায় ছিলে এতক্ষন?
ক্লাস শেষে লাইব্রেরিতে গিয়েছিলাম বাবা।
উত্তর দিতেনা দিতেই রোবটা ঠাস করে এক চগ কয়াল আবুলকে।
বাবা বললেন, ঠিক করে বল কই ছিলি........
বন্ধুদের সাথে সিনেমা দেখতে গিয়েছিলাম।
কি সিনেমা ?
টাইটানিক।
আবার ঠাস...........
কেদেঁ কেদেঁ আবুল বলল, বাবা নাইট কুইন দেখতে গিয়েছিলাম।
তোর এই বয়সেই তোরা এইসব বাজে ছবি দেখছিস, আমরাতো তোদের মত সময়ে সিনেমা হলেই যেতে সাহস পেতামনা।
আবার ঠাস............দেখাগেল এবার বাবা গাল লাল হয়ে উঠেছে।
রান্নাঘরথেকে এত মারামারির শব্দ পেয়ে ছুটে এলেন মা।
কি ব্যাপার, কি শুরু করলে, নাহয় একটু ছিনেমাই দেখেছে, তাই বলে এমনভাবে মারবে, তোমারইতো ছেলে,ওকে এমন.........
কথা শেষ করতে পারলেননা তিনি, তার আগেই আবার ঠাস....................।
হতবিহব্বল ভাবে ফ্যাল ফ্যাল ভাবে চেয়ে রইলেন আবুলের বাবা ।
প্রেমিকঃ আচ্ছা সত্যি করে বল তো, তুমি কতজনকে ভালোবাস?
প্রেমিকাঃ হু ...
প্রেমিকঃ কি ব্যাপার চুপ করে রইলে যে, রাগ করলে নাকি?
প্রেমিকাঃ না, আসলে গুনছি, মোট কতজন হয়।
প্রেমিকঃ তোমার মোবাইল এত ব্যস্ত থাকে কেন? কোন অজুহাত চাই না- এক কথায় উত্তর দেবে।
প্রেমিকাঃ এক কথায় বলতে পারব না।
প্রেমিকঃ কেন?
প্রেমিকাঃ ছয় জনের সঙ্গে কথা বলি। ছয় কথা বলতে হবে!
প্রেমিকঃ তোমার কি মনে হয় আমি আরও একটি মেয়ের সঙ্গে প্রেম করি?
প্রেমিকাঃ শুধু মনে হয়ই না, আমি নিশ্চিত। তোমার শার্টে জড়িয়ে থাকা ওই লম্বা চুলগুলো কোনভাবেই আমার নয়, অন্য একজনের! হলফ করে বলতে পারি।
প্রেমিকঃ (অবাক!)
প্রেমিকাঃ কি ব্যাপার এত অবাক হচ্ছ কেন?
প্রেমিকঃ অবাক হচ্ছি কারণ বাকি তিন তিনটি মেয়ের চুলে তুমি কোন পার্থক্য খুঁজে পাচ্ছ না বলে!
প্রেমিকাঃ জানো, প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে আমি প্রথম তোমাকে ভাবি!
প্রেমিকাঃ তাই! ঝন্টুও তো একই কথা বলে!
প্রেমিকঃ আমি ঝন্টুর চেয়ে এক ঘণ্টা আগে ঘুম থেকে উঠি, বুঝলে!
প্রেমিকঃ তুমি আমাকে কি মনে কর! আমি অন্য দশজনকে মতো নই। তোমার জন্য পারি না এমন কোন কাজ নেই। চাইলে এখনই এই জীবনটা তোমাকে দিয়ে দিতে পারি।
প্রেমিকাঃ ভালবাসা না কচু! তাহলে কাল পার্কে এলে না যেঃ
প্রেমিকঃ দেখনি কি বৃষ্টি? তুমি তো জানোই বৃষ্টিতে ভিজলে আমার আবার জ্বর-সর্দি বাঁধে, শেষে মরার দশা।
প্রেমিকাঃ তুমি দিনে কতবার সেভ কর?
প্রেমিকঃ বিশ, পঁচিশ বা ত্রিশ বার।
প্রেমিকাঃ পাগল নাকি?
প্রেমিকাঃ না, আমি নাপিত ।
বাড়ির সামনে একটা মরা গাধা পড়ে থাকতে দেখে বাড়ির মালিক গেলেন পৌরসভায় খবরটা দিতে।
* কমিশনার সাহেব, আমার বাড়ির সামনে একটি গাধা মরে পড়ে আছে, দ্রুত এর একটা ব্যবস্টা নিন।
* এটা তো আপনিই করতে পারেন, আর এটা তো আমাদের কাজের মধ্যে পড়ে না।
* বলেন কী! এটা পৌরসভার কাজ না?
* না, দেখুন, আমি কাজে ব্যস্টস্ন আছি। আপনি গাধাটাকে দাহ করেন আর কবর দেন, যা করার বাড়ি গিয়ে করুন।
* ঠিক আছে। কিন্তু আমি যতটুকু জানি, কেউ মারা গেলে প্রথমেই তার নিকটাত্মীয়দের খবরটা দিতে হয়। তাই দিয়ে গেলাম ।