Thursday, April 21, 2011

Page 14


বিল গেটস মৃত্যুর পরে ঈশ্বরের দরবারে হাজির হয়েছেন
ঈশ্বর তাকে দেখে বেশ চিন্তিত হয়ে পড়লেন ভাবছেন ওকে নরকে পাঠাবেন নাকি স্বর্গে?
প্রথমত ভদ্রলোক পৃথিবীকে অনেক কিছু দিয়েছেন উইন্ডোজ প্রোগ্রাম থেকে শুরু করে আরো অনেক প্রোগ্রাম -কম্পিউটারকে করেছেন সহজ লভ্য যে কারনে অতি দ্রুত সেটা ঘরে ঘরে পৌছে গেছে তাহলে তাকে স্বর্গেই পাঠানো যাক
নাহ -ওদিকে মানুষের উপকারের চেয়ে নিজের ব্যাবসায়িক স্বর্থকে বড় করে দেখা- আর মানব জাতির ধ্বংস(!)তরান্বিত করতে তার অবদানের কথা স্বরন করে ভাবলেন ব্যাটাকে নরকেই দিব
নিজে ভেবে কোন কুলকিনারা না করতে পেরে তাকেই অপসন দিলেন জিজ্ঞেস করলেন তুমি কোথায় যেতে চাও স্বর্গে না নরকে?
বিল গেটস বিনীত স্বরে বললেনবেছে নেয়ার আগে ঈশ্ববর একটু দেখে নিলে ভাল হতো না?’
ঠিক আছে তার থেকে তুমি দেখেই নাও যেখানে ভাল মনে কর সেখানে যেও
বিল গেটস প্রথমে নরক দেখতে চাইল
নরকের দরজা খুলে ভেতরের চেহারা দেখেই তার মন জুড়িয়ে গেল আহা কি সুন্দর পরিবেশ চাদের স্নিগ্ধ আলো মৃদুমন্দ বাতাস ফল ফুলে ছাওয়া গাছে গাছে পাখির কুজন কাকচক্ষু জলের বিশাল সরোবর সুবেশা সুন্দরী রমনীদের প্রেমময় ভঙ্গী দেখে মনে হল স্বর্গ দেখার আর প্রয়োজন নেই এখানেই থেকে গেলে মন্দ হয়না
আবার ভাবলেন তবুও সুযোগ যখন মিলেছে তবে স্বর্গটাও একটু দেখে যাই
স্বর্গ দেখেই তার যেন দম আটকে গেল ছিঃ কি নোংরা জঘন্য স্যাতস্যাতে অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশ বাতাসে যেন ভেসে আসছে দুর্গন্ধ! আর কি বিশ্রী চিৎকার চেচামেচী ধ্যৎ এখানেতো একমুহুর্তও থাকা যাবেনা স্বর্গ দেখার সমাপ্তি দিয়ে,
ঈশ্বরের দরবারে তাড়াহুড়ো করে ফিরে এসে (পাছে মত পাল্টাতে পারেন সেই ভেবে)তাকে কিছূ বলবার সুযোগ না দিয়েই বললেনঈশ্বর আমাকে নরকে যেতে দিতে আজ্ঞা হোক
ঈশ্বর মুচকি হেসে বললেনতথাস্তু
বিল নাচতে নাচতে নরকে গেল
মাস খানেক বাদে ঈশ্বর নরক পরিদর্শনে গেলে - বিলের ত্রাহি চিৎকারে এগিয়ে গেলেন ভয়ঙ্কর আগুনের কুয়ো থেকে বিল কোন মতে তার বিকৃত মুখ বের করে তাঁকেপ্রতারকবলে গালি দিল বলল, তিনি নাকি দেখিয়েছেন একটা আর দিয়েছেন আরেকটা দারুন পরিবেশের লোভ দেখিয়ে এখন এই ভয়ঙ্কর আগুনে পোড়াচ্ছেন
ঈশ্বর তার সব কথা মনোযোগ দিয়ে শুনে মুচকি হেসে প্রতিউত্তরে শুধু একটি কথাই বললেনওটা ছিল স্ক্রিন সেভার

ভাইয়ার ব্যাটম্যান আলীম কয়েকদিন আগে হটাৎ করেই হাসতে শুরু করল অট্ট হাসিতো দুরে থাক, মুচকি হাসি হাসার মত কোন ঘটনাও ঘটেনি আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, 'কিরে, কি হয়েছে?' হাসতে হাসতেই উত্তর দিল-'স্যার (ভাইয়া) আইজ একহান মজার কতা কইছে''কি এমন হাসির কথা কইছে'? আমি জানতে চাইলাম অনেক সময় ভেবে উত্তর দিল, 'মনে পরতেছে না

১ম বান্ধবী - আচ্ছা ছেলেরা ছেলেরা এত কি কথা বলে ?
২য় বান্ধবী - কেন আমরা মেয়েরা মেয়েরা যে কথা বলি !
১ম বান্ধবী - ছি. ছি. ছি ছেলেরা এত খারাপ

সুখবর!!! সুখবর!!! সুখবর!!!
ধূমপান করুন, পুরস্কার জিতুন
প্রথম পুরষ্কার: মৃত্যু
দ্বিতীয় পুরষ্কার: ক্যান্সার
তৃতীয় পুরষ্কার: আলসার
চতুর্থ পুরষ্কার: হাঁপানি
পঞ্চম পুরষ্কার: কাশি
সান্তনা পুরষ্কার: আত্মীয়-স্বজনের চোখের পানি
মোট পুরস্কার: ১৪ কোটি বাঙালী
টিকেট প্রাপ্তিস্থান: পান-বিড়ি-সিগারেট এর দোকান
ড্র এর স্থান: নিকটবর্তী হাসপাতাল
ড্র: মৃত্যুর সময়
যোগাযোগ: কবরস্থান
বিস্তারিত: দৈনিক ইন্তেকাল


আমি তখন ৮ম শ্রেনীতে পড়ি ভিডিও গেমসের মায়ার জগতে সদ্য পা দিয়েছি ক্যাম্পাসের বাইরে বের হবার অনুমতি ছিল না বলে খুব একটা খেলার সুযোগ পেতাম না বাজার করতে বের হলেই সুযোগ মিলত আমি খুব বোকা তাই বাজার করতে পারতাম না একটা নির্দ্দিষ্ট দোকান ছিল আমি গিয়ে বাজারের লিস্ট আর টাকা দিতাম দোকানদার মামা সব বাজার করে রিক্সা ঠিক করে দিত আমি চলে আসতাম সেদিন বাজার করতে বের হয়ে ঢুকলাম ভিডিও গেমসের দোকানে সময়ের কোন হিসাবই রইল না যখন চমক ভাঙ্গল, চারিদিক অন্ধকার হয়ে গেছে বৈশাখ মাস কাল মেঘে ছেয়ে গেছে আকাশ ঝড় আসবে ১০০ ভাগ নিশ্চিত দৌড় দিলাম বাজারের দিকে মাত্র দোকানদার মামার হাতে লিস্ট দিয়েছি, আমার মেঝ আপা এসে হাজির এদিকে ঝড় আসছে অন্য দিকে আমার কোন খবর নেই বাসায়  কোন ছেলে মানুষ ছিল না বলে আপা নিজেই চলে এসেছে দোকানদার মামা বাজার শুরু করল আর আপা শুরু করল জেরা আমি চুপ কোন কথারই জবাব দেই না বাজার শেষ করে যখন বাসায় ফিরলাম তখন আমি, আপা দুজনেই কাক ভেজা রিক্সা থেকে নেমেই আপা আমার গালে রাম চড় বসিয়ে দিল তাই দেখে রিক্সাওয়ালা বলল, "আফা, মাইরেন না গরীব মানুষ"