মা: মৌসুমি তোকে ওভাবে মারল কেন? ও তো দেখি খুবই শান্ত মেয়ে।
ছেলে: আমি তো তাই ভেবেই চিমটিটা কেটেছিলাম...।
চোরাকারবারি কাল্লু খাঁ তার শাগরেদকে ডেকে বলল, ‘যা তো দেখে আয় রাস্তায় কোনো পুলিশ আছে কি না।’
খানিক পরেই শাগরেদ একদল পুলিশ নিয়ে হাজির, বলল, ‘ওস্তাদ, রাস্তায় কোথাও পুলিশ পাইনি, তাই থানা থেকেই ডেকে নিয়ে এলাম।’
ছেলে: মা, একটা লোক রাস্তায় অনেকক্ষণ ধরে চিৎকার করছে। ওকে একটা টাকা দিয়ে আসি?
মা: কী বলে চিৎকার করছে?
ছেলে: অ্যাই আইসক্রিম, আইসক্রিম!
প্রথম বন্ধু: কিরে, বসে বসে কী করিস?
দ্বিতীয় বন্ধু: বউয়ের কাছে একটা চিঠি লিখছি।
প্রথম বন্ধু: কিন্তু তুই তো লিখতেই জানিস না।
দ্বিতীয় বন্ধু: আমার বউও পড়তে পারে না।
প্রথম পথচারী: ভাই, আমাকে পাঁচটা টাকা দেবেন? বাসভাড়া নেই, টাকাটা পেলে বাসে করে বাসায় যেতে পারি।
দ্বিতীয় পথচারী: পাঁচ টাকা তো ভাঙতি নেই, পকেটে ৫০০ টাকার নোট।
প্রথম পথচারী: আমি ট্যাক্সিতে করেও যেতে পারব, কোনো সমস্যা হবে না।
ঘোড়াকে সামনে পেয়ে নেকড়ে বলল:
- আজ তোমার আর রক্ষা নেই! এখন আমি তোমাকে খাব।
- ঠিক আছে, খাবে খেয়ো। তবে তার আগে পড়ে দ্যাখো কী লেখা আছে আমার খুরের তলায়।
ঘোড়ার পেছনের পায়ের খুর দেখতে শুরু করল নেকড়ে। ঠিক তখন তাকে কষে লাথি হাঁকিয়ে ঘোড়া পালিয়ে গেল। উঠে গায়ের ধুলো ঝাড়তে ঝাড়তে নেকড়ে আপনমনেই বলল:
- শালা, পড়তেই জানি না, আবার পণ্ডিতের মতো পড়তে গেছি!
পেট শপে ঢুকে তোতাপাখির খাঁচার কাছে গিয়ে তাকে প্রশ্ন করল এক ক্রেতা:
- কী হে, কথা বলতে পারো?
- তা তো পারিই, জানাল তোতাপাখি। - এখন তুমি বলো, তুমি উড়তে পারো?
গল্প করছে দুই মুরগি।
- যা-ই বলো, আমাদের মোরগটা কিন্তু দুর্দান্ত স্মার্ট। ঠিক যেন বাজপাখি। ও রকমই বিশাল ডানা, চোখা ঠোঁট।
- না, তোমার সঙ্গে একমত হতে পারলাম না। আমাদের মোরগের মতো হতে চাইলে বাজপাখিকে বহু বছর সাধনা করতে হবে।
- কেন?
- বাজপাখি কি কু-কুরুক-কু ডাকতে পারে?
ল্যাবরেটরির ভেতরে বসে আছে দুই বানর। একটি বৃদ্ধ, অন্যটি বয়সে তরুণ। তরুণ বানরটি তাকিয়ে আছে কাচের ওপাশে বসে থাকা সাদা অ্যাপ্রোন পরা লোকটির দিকে। তাকে দেখিয়ে সে জিজ্ঞেস করল বৃদ্ধ বানরকে:
- ওটা কে?
- ল্যাবরেটরি অ্যাসিস্ট্যান্ট। বহু কষ্টে আমি তাকে ট্রেনিং দিয়েছি।
- ট্রেনিং দিয়েছ মানে? বিস্ময়ের সুর তরুণ বানরের গলায়।
- মানে খুব সহজ। আমি এই লাল বোতামে টিপ দিই, সে কলা নিয়ে আসে আমার জন্য।
এক বৃষ্টির দিনে মালিক তার কাজের লোককে বলছে-
মালিক : রহিম, বাগানে পানি দিতে যা।
কাজের লোক : হুজুর আজকে তো বৃষ্টি হচ্ছে।
মালিক : বৃষ্টি হলে ছাতা নিয়ে যা!
রেস্তোরায় ওয়েটারকে এক ভদ্রলোক বললেন- "গত সপ্তাহে আমি এখানে মাটন কাটলেট খেয়েছিলাম। আজও খাচ্ছি। কিন্তু সেদিনেরটা অনেক ভালো ছিল।"
ওয়েটার: কি বলেন স্যার! দুটি কাটলেটইতো একই দিনে বানানো।
শীতের মাঝ রাতে হোটেলে রুটি আর মাংস খেতে খেতে..
ভদ্রলোক: বাহ, এই মাঝ রাতেও তোমাদের রুটি দেখি বেশ গরম।
ওয়েটার: হবে না স্যার, বিড়ালটাতো রুটিটার উপরেই বসা ছিল।
খদ্দের : (রেগে গিয়ে) বেয়ারা, আমার চায়ে মাছি কেন?
বেয়ারা : তাহলে এবার বুঝুন স্যার, মাছিটা পর্যন্ত টের পেয়ে গেছে আমার চা কতটা ফাস্টক্লাস ।
মাতাল : কিরে, তোর আব্বা কই?
ভাতিজা : আব্বাকে কী দরকার?
মাতাল : এই তালগাছটা চাইতে এলাম। এটা দিয়ে একটা হাতের লাঠি বানাতাম।
ভাতিজা : এই গাছটা আব্বা মেছওয়াক করার জন্য রেখে দিয়েছে।
বিরোধী দলীয় নেতা সমুদ্র সৈকতে একটি প্রাচীন বোতল কুড়িয়ে পেলেন। বোতলের ছিপি খুলতেই ভেতর থেকে এক দৈত্য। নেতাকে কুর্নিশ করে দৈত বলল-আপনি আমাকে জাদুর বোতল থেকে মুক্ত করেছেন, তাই আমি আপনার তিনটি ইচ্ছা পূরণ করব। তবে শর্ত হচ্ছে আপনি যা পাবেন আপনার প্রতিপক্ষ নেতা পাবে এর দুই গুণ।
ঠিক আছে-নেতা রাজী হলেন। আমার প্রথম ইচ্ছা একটি বিলাস বহুল বাড়ী, ২য় ইচ্ছা একটি বিলাস বহুল গাড়ী, আর শেষ ইচ্ছা আমি আমার একটি কিডনি জনস্বার্থে দান করে দিতে চাই।
বাংলাদেশের টি.এন্ড.টি মন্ত্রী গেছেন ব্রিটেনে। ব্রিটেনের টি.এন্ড.টি মন্ত্রী উনাকে জংলা মত একটি জায়গায় নিয়ে গিয়ে বললেন-মাটি খুড়ুন।
বাংলাদেশের মন্ত্রী মাটি খুড়তে শুরু করলেন। দশ ফুট মাটি খুড়ে পাওয়া গেল জীর্ণ টেলিগ্রাফের তার। ব্রিটেনের মন্ত্রী সগর্বে বললেন-দেখলেনতো দুইশ বছর আগেও আমাদের দেশে টেলিগ্রাফের প্রচলন ছিল।