Thursday, April 21, 2011
Page 11
সমস্ত শরীরে ফোলা দাগ নিয়ে এক রোগী ডাক্তারের কাছে গেল। ডাক্তার রোগীকে দেখে কোনো রোগই ধরতে পারলেন না। অবশেষে নিজের অক্ষমতা ঢাকতে
ডাক্তার : এই রোগটা কি আপনার আগেও হয়েছিল?
রোগী : জি আগে একবার হয়েছিল। কিন্তু ডাক্তার সাহেব এটা আমার কী রোগ?
ডাক্তার : এটা আপনার আগের সেই রোগই ।
হামিদ ও রাকিবের মধ্যে কথা হচ্ছে
হামিদ : রাকিব, তুই আমাকে রাত ১০টায় ফোন দিস।
রাকিব : তাহলে তুই রাত ৯টা ঊনষাট মিনিটে ফোন করে মনে করিয়ে দিস।
দুই বন্ধুর মধ্যে কথা হচ্ছে-
১ম বন্ধু : দেখেছিস, শামুক কত অলস প্রাণী। তিন ঘণ্টা ধরে দেখছি মাত্র দুই ইঞ্চি এগিয়েছে।
২য় বন্ধু : আর তুইই বা কম কিসে। তিন ঘণ্টা ধরে একই জায়গায় একইভাবে বসে শামুকটাকে দেখছিস।
দোকানদার : এই যে, ভাই এদিকে আসেন, কী চাই?
ক্রেতা : চায়ের সঙ্গে দুধ মেশালে যে রঙ হয় সে রঙের টাই আছে?
দোকানদার : চিনিসহ না চিনি ছাড়া?
দিপু : চলতো টিপু চোখের ডাক্তারের কাছে যাই।
টিপু : কেন?
দিপু : আমি দূরের জিনিস দেখতে পাচ্ছি না।
টিপু : তোর চোখ তো একদম ঠিক আছে।
দিপু : (রাগান্বিত হয়ে) তুই কী করে বুঝলি?
টিপু : ওই যে সূর্যটা দেখতে পাচ্ছিস?
দিপু : হ্যাঁ পাচ্ছি!
টিপু : তাহলে আর কতো দূরের জিনিস দেখবি?
এক ব্যক্তি ভাগ্যের সন্ধানে জ্যাতিষীর কাছে হাত দেখাতে গিয়েছে। সেই ব্যক্তির হাত দেখে জ্যোতিষী বলছে...............
জ্যোতিষী: আপনার জীবনে ১৩ নারীর আগমন ঘটবে।
ব্যক্তি: (মহাখুশিতে) তাই নাকি :dD কি কপাল নিয়া যে জন্মাইছিলাম :cool:
জ্যোতিষী: বেশি খুশি হইয়েন না।
ব্যক্তি: কেন?
জ্যোতিষী: কারন ১৩ নারীর একজন আপনার বিবি আর বাকিগুলা আপনার কন্যা ।
এক স্বামীর কয়েদী হিসেবে জেলখানায় বসবাস। একদিন একটি চিঠি এলো স্ত্রী'র নিকট হতে। তাতে স্ত্রী লিখেছে "আমি বাড়ির পিছনের বাগানে কিছু সবজি চাষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। চারা রোপন করার উৎকৃষ্ট সময় কখন?" কয়েদী স্বামী জানতো যে কয়েদীদের নিকট চিঠি পৌঁছার আগে কারারক্ষীরা তা পড়ে। তাই সেই চিন্তা করে স্ত্রী'র চিঠির জবাবে লিখলো "প্রিয়তমা বিবি, আর যাই করোনা কেন, কখনো পিছনের বাগানে হাত দেবেনা। কারন এটা সেই জায়গা যেখানে আমি সকল সোনা দানা টাকা পয়সা লুকিয়ে রেখেছি।" মাসখানেক পর কয়েদী স্বামী, স্ত্রী'র আরেকটি পত্র পেলো। তাতে স্ত্রী লিখেছে "তুমি বিশ্বাস করবেনা যে কি হয়েছে। তোমার চিঠি আসার পর ঘরে কিছু মানুষ কোদাল নিয়ে এসেছে এবং পিছনের বাগান খুঁড়ে গিয়েছে।" কয়েদী স্বামী সেই চিঠির জবাবে লিখলো "প্রিয়তমা বউ, এখনই সবজির চারা রোপন করার উৎকৃষ্ট সময়।"
একদা এক যুবকের ইচ্ছে ধনী হওয়ার খুব ইচ্ছা। কিন্তু কিভাবে মানুষ ধনী হয় তা খুব জানার ইচ্ছা। একদিন পথে চলতে চলতে এক বয়স্ক ব্যক্তির সাথে দেখা। কথায় কথায় সে বুঝতে পারলো যে সেই বয়স্ক ব্যক্তিটি ধনী। তাই তার কাছে ধনী হওয়ার গল্প জানতে চাইলো................................
যুবক: আচ্ছা আপনি ধনী হলে হলেন কিভাবে?
বয়স্ক ব্যক্তি: হুম, ভালো প্রশ্ন করেছো। তাহলে শোনো। বহু বছর আগের কথা। তখন আমি সবেমাত্র বিয়ে করেছি। কিন্তু কি দুর্ভাগ্য, সেই বছরই শুরু হল মন্দা। মন্দায় আমিও আক্রান্ত হলাম। এক সময় এমন একটা পর্যায়ে পৌঁছালো যে, আমার হাতে শুধুমাত্র একটি রুপার কয়েন। আমি সেই রুপার কয়েনটি বিক্রয় করে ভালো জাতের একটি আপেল কিনলাম। সেই আপেলটিকে সুন্দর করে পলিশ করে চকচক করলাম। পরেরদিন সেই আপেলটি বিক্রয় করলাম ১০ পয়সায়। আপেলটি বিক্রয় করার পরেরদিন বিক্রয়লব্ধ টাকা দিয়ে দুটি আপেল কিনলাম। সেই দুটি আপেল আবার ২০ পয়সায় বিক্রি করলাম। মাসের বাকি ক'টা দিন এই প্রক্রিয়ায় চালালাম। মাস শেষে আমার কাছে সবমিলিয়ে জমা হল এক টাকা সাইত্রিশ পয়সা। তার পরবর্তী মাসে আমার শশুর মারা গেলেন এবং আমাদের জন্য ১০ লক্ষ টাকা রেখে গেলেন। আর আমি ধনী হয়ে গেলাম ।
মধ্যপ্রাচ্যের একটি ঠান্ডা পানীয় কোম্পানীর একজন অসফল সেলসম্যান মধ্যপ্রাচ্যে ব্যর্থ হয়ে দেশে ফিরেছে। দেশে আসার পর এক বন্ধু তাকে জিজ্ঞেস করছে........................
বন্ধু: কিরে, তুই আরব দেশে যায়া ফেল মারলি ক্যান?
সেলসম্যান: দোস্ত, প্রথম যখন আরব দেশে গেলাম, তখন মনে করছিলাম পারবো। কিন্তু সমস্যা বাধছিল ভাষা নিয়া। কারন আমি আরবী জানিনা। তাই নতুন উপায় বের করলাম: তিনটি পোস্টারের মাধ্যমে বার্তা দেয়া :dD যার প্রথমটিতে ছিল একটি মানুষ, যে মরুভূমির বুকে ক্লান্ত ও বিধ্বস্ত। দ্বিতীয় পোস্টারে একই ব্যক্তি আমার কোম্পানীর ঠান্ডা পানীয় খাচ্ছে। আর তৃতীয় পোস্টারে সেই ব্যক্তি সম্পূর্ণ সতেজ ও চনমনে হয়ে গিয়েছে। তারপর পোস্টারগুলা লাইন ধরে সব জায়গায় লাগিয়ে দিলাম।
বন্ধু: সেটা নিশ্চয়ই কাজে লেগেছে।
সেলসম্যান: না, কারন আমি যে শুধু আরবী জানতাম না তা নয়, আরবরা যে পড়ার সময় ডান থেকে বাম দিকে পড়ে, সেটাও জানতাম না ।