এরপরের পরীক্ষায় রচনা এলো আমার প্রিয় শিক্ষক। সে লিখল- আমার প্রিয় শিক্ষক এর নাম মোহাম্মদ আসাদ। তার চোখ গুলো গোলগোল। কুমিরেরও চোখ গোল গোল। জেন রাখা ভালো যে কুমির একটি সরিসৃপ প্রানী। এটি জলে বসবাস করে। কুমিরের পিঠ খাজ কাটা, খাজ কাটা, খাজ কাটা, খাজ কাটা...দশ পৃষ্ঠা শেষ।
শিক্ষক দেখলেন এতো ভারী বিপদ। শেষে তিনি অনেক ভেবে চিন্তে রচনার বিষয় ঠিক করলেন পলাশীর যুদ্ধ। লেখ ব্যাটা, এই বার দেখি কি করে তুই কুমিরের রচনা লিখিস।
তো ছাত্র লিখলো- ১৮৫৭ সালে পলাশীর প্রান্তরে ইংরেজ এবং বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজুদ্দৌলার মধ্যে যুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিল। এই যুদ্ধে নবাব সিরজুদ্দৌলা তার সেনাপতি মীরজাফর এর উপর ভরসা করে খাল কেটে কুমির এনেছিলেন।জেনে রাখা ভালো যে, কুমির একটি সরিসৃপ প্রানী। এটি জলে বসবাস করে। এর চোখ গোল গোল। কুমিরের পিঠ খাজ কাটা, খাজ কাটা, খাজ কাটা, খাজ কাটা...দশ পৃষ্ঠা শেষ!
চিকিৎসক ও রোগীর মধ্যে কথা হচ্ছে—
রোগী: আচ্ছা, আমি হাসপাতালে কেন? কীভাবে এখানে এলাম?
চিকিৎসক: সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হওয়ার পর আপনাকে এখানে নিয়ে আসা হয়েছে।
রোগী: কী ঘটেছিল?
চিকিৎসক: ওসব বাদ দেন। আপনার জন্য একটি সুসংবাদ ও একটি দুঃসংবাদ আছে। বলেন কোনটা আগেশুনতে চান?
রোগী: দুঃসংবাদটিই আগে শুনি।
চিকিৎসক: হুম্ম। দুর্ঘটনায় আপনার পা দুটিতে প্রচণ্ড আঘাত লেগেছিল। তাই আপনার দুটি পা-ই কেটেফেলতে হয়েছে।
রোগী: হায়! আর সুসংবাদটি কী?
চিকিৎসক: সুসংবাদটি হলো, পাশের ওয়ার্ডের এক রোগী আপনার স্যান্ডেল জোড়া চড়া দামে কেনারপ্রস্তাব দিয়েছেন। এই অফারে বেচবেন কি না, ভেবে দেখেন। কারণ, এ সুযোগ আর পাবেন না।
শিক্ষক বললেন- মামুন বিপরীত শব্দ বলতো - দোজখ।
মামুন- বেহেশত।
শিক্ষক- ভালো।
মামুন- খারাপ।
শিক্ষক- বস।
মামুন - দাড়াও।
শিক্ষক- আজব!
মামুন - স্বাভাবিক।
শিক্ষক- আচ্ছা বেয়াদব ছেলেতো!
মামুন- স্যার এইটা পারি না।
কাজের লোকঃ স্যার, আপনি রাত জেগে কি এতো লেখেন?
সাহিত্যিকঃ বই লিখি, বই।
কাজের লোকঃ এতো কষ্ট করার কি দরকার স্যার, আমাকে কয়টা টাকা দিলেই তো বাজার থেকে অনেক বই এনেদিতাম।
দুষ্টু ছেলে
উড়োজাহাজ আকাশে ওড়ার পর এক দুষ্টু ছেলে তার মধ্যে দৌড়াদৌড়ি করে খেলছিলো। অনেকক্ষণ ধরে ছেলেটির জ্বালাতন সহ্য করার পর আর থাকতে না পেরে এয়ার হোস্টেস বিরক্ত হয়ে বললেন, এই ছেলে, এতো দুষ্টুমি করছো কেন? বাইরে গিয়ে খেলতে পারো না?
চাইনিজ রেডিও
তুহিন: বাবা! বাবা! দেখো, আমি খুব সস্তায় দারুন একটা চাইনিজ রেডিও কিনেছি।
তুহিনের বাবা: তুই কী বোকা তুহিন! তোর কবে একটু বুদ্ধিসুদ্ধি হবে আমায় বলতো? তুই তো চাইনিজ ভাষাটাই জানিস না, তাহলে কি করবি এই চাইনিজ রেডিও দিয়ে?
অপেক্ষা
ডাক্তার : আপনার কি হয়েছে?
রোগী : ডাক্তার সাহেব আমাকে বাঁচান! আমি মনে হয় ১০মিনিটের মধ্যে মারা যাবো।
ডাক্তার : একটু অপেক্ষা করুন, আমি ২০ মিনিটের মধ্যে ফিরে আসছি।
দাঁত তোলা
এক দাঁতের রোগী ডাক্তারের সঙ্গে ভিজিট নিয়ে তর্ক করছে।
রোগী : একটা দাঁত তোলার জন্য তিনশ টাকা! এটা তো এক মিনিটের কাজ।
ডাক্তার : আপনি চাইলে আমি আরো সময় নিয়ে তুলে দিতে পারি।
ডাক্তার ও রোগী
রোগী : ডাক্তার সাহেব, আমার খুব খারাপ লাগছে। মনে হয় আমি মরে যাবো।
ডাক্তার : কোন চিন্তা করবেন না। ওটা আমার উপর ছেড়ে দিন।
গৃহকর্তা অফিস থেকে বাসায় ফোন করেছেন।
বাড়ির চাকর ফোন ধরে বলল হ্যালো,
তখন গৃহকর্তা বললেন তোর মেমসাহেব কোথায় রে?
চাকরঃ উনি তো বেডরুমে দরজা বন্ধ করে এক লোকের সাথে গল্প করতেছেন।
গৃহকর্তাঃ কি? তুই এক কাজ কর, বন্ধুক বের করে দুইজনকেই গুলি কর
চাকরঃ আচ্ছা দাড়ান।
গৃহকর্তা দুটি গুলির শব্দ শুনলেন
চাকর আবার ফোন ধরে বলল
চাকরঃ স্যার, মেমসাহেবরে গুলি করছি আর লোকটারে লাগাইতে পারি নাই, পালাইছে।
গৃহকর্তাঃ ঠিক আছে। তুই বন্ধুকটা বাসার পাশের সুইমিং পুলে ফেলে দে
চাকরঃ আমাগো বাসার পাশে তো সুইমিং পুল নাই।
গৃহকর্তাঃ ও সরি, রং নাম্বার ।
মক্কেল গোয়েন্দা বিভাগে ইন্টারভিউ দিতে এসেছে।
প্রশ্নকর্তাঃ কেন চোর সব সময় চুরি স্থলে ফিঙ্গার প্রিন্ট রেখে যায়...
মক্কেলঃ ওরা বেশির ভাগ সময় অশিক্ষিত হয় তাই আঙ্গুলের ছাপ রেখে যায়...শিক্ষিত হলে অবশ্যি সাইন করে যেত।
রেলস্টেশনে এক ভদ্রলোকের পোষা কুকুর অপর এক ভদ্রলোকের পায়ে, লাগেজের ওপর প্রাকৃতিক কর্ম সম্পাদন করেছে। অপর ভদ্রলোক এ ঘটনার পর একটি বিস্কুট নিয়ে ওই কুকুরটির ওপর ধরল।
পোষা কুকুরের মালিক : আহা আপনি বুঝি কুকুরকে খুব ভালবাসেন। আপনাকে নোংরা করার পরও বিস্কুট সাধছেন?
ভদ্রলোক : না, কুকুরটির মুখ খুঁজছি যেন ওটার পেছনে সজোরে লাথি মারতে পারি।
এক ভদ্রলোকের স্ত্রী কুকুর পোষেণ। ভদ্রলোক কুকুরটিকে মোটেই সহ্য করতে পারেন না। একদিন সকালে গোপনে ভদ্রলোক কুকুরটিকে তার বাসা থেকে বিশ ব্লক দূরে এক বাড়িতে রেখে এলেন। কিন্তু তিনি বাড়ি ফিরে দেখেন, কুকুরটি তার আগেই ফিরেছে!
অপর একদিন আবারো ভদ্রলোক কুকুরটিকে এ গলি ও গলি পার করে চল্লিশ ব্লক দূরে রেখে এলেন। সেদিনও একই ঘটনা। কুকুর ভদ্রলোকের আগেই বাড়ি ফিরেছে! শেষমেশ ভদ্রলোক এক সকালে বাড়ি থেকে একশ’ মাইল দূরে এক জটিল পথ পাড়ি দিয়ে কুকুরটিকে রেখে বাড়ি রওনা হলেন। ঘণ্টা তিনেক বাদে তিনি বাসায় ফোন করলেন তার স্ত্রীকে।
ভদ্রলোক : হ্যালো। তোমার কুকুর কি বাড়ি ফিরেছে?
স্ত্রী : হ্যাঁ। কেন গো?
ভদ্রলোক : ওকে একটু পাঠাও তো, আমি পথ হারিয়ে ফেলেছি!
একদিন সকালে ঘুম ভেঙে সিংহ মশাইয়ের মনে হল তিনিই বনের রাজা কিনা একটু যাচাই করা দরকার। তিনি প্রশ্ন করলেনÑ
সিংহ : এই ব্যাটা বলতো বনের রাজা কে?
শেয়াল : মহামান্য, আপনি সিংহ। আপনার শরীরে যা শক্তি!
সিংহ : এই ব্যাটা হরিণ, বলতো বনের রাজা কে?
হরিণ : আজ্ঞে আপনি। তা আর বলতে হয়। আপনি যা ক্ষীপ্র ও দ্রুতগতিতে দৌড়ান।
সিংহ : এই ব্যাটা হাতি! বলতো তুই বনের রাজা কে?
হাতিকে তুই বলে সম্বোধন করায় সে বেজায় রেগে সিংহকে পিটিয়ে, আছড়িয়ে তুলোধুনো করল। এরপরÑ
সিংহ : এত রাগের কি হল মশাই, নিজের নামটা বললেই তো হতো!
নববিবাহিত দম্পত্তি আলাপ করছে -
স্ত্রী : আমি প্রতি সপ্তাহে বসুন্ধরা যাবো।
স্বামী : কেন ?
স্ত্রী : কেন মানে, মার্কেট করতে!
স্বামী : অ্যা!!
স্ত্রী : আর প্রতি সপ্তাহে একবার কাঁটাবন যাবো।
স্বামী : কাঁটাবন কেন ?
স্ত্রী : কেন আবার, চাইনিজ খেতে।
স্বামী : (বড় বড় চোখ করে) হুম!
স্ত্রী : আর শুনো, প্রতি সপ্তাহে একবার...
স্বামী : আমিও প্রতি সপ্তাহে একবার মন্দির যাবো।
স্ত্রী : মন্দির কেন ?
স্বামী : কেন আবার, ভীক্ষা করতে।
একদিন একজন শিক্ষক একটি ছাত্রকে জিজ্ঞাসা করলেন--'কতকগুলো ইংরেজি ওয়ার্ড বলো তো?' কিন্তু ছেলেটি বলতে পারল না। শিক্ষক মহাশয় তাকে খুব বকলেন। ছেলেটি মনমরা হয়ে বাড়ি ফিরল। পরদিন পুনরায় স্কুল যাবার আগে তার মনে পড়ল তাকে কতকগুলো ইংরেজি ওয়ার্ড জেনে যেতে হবে।সে প্রথমে তার বাবার কাছে গেল এবং বলল- 'বাবা বাবা আমায় কতকগুলো ইংরেজি ওয়ার্ড বলো তো?
বাবা কোনো কারণে রেগে ছিলেন ,তিনি বললেন - 'ইডিয়ট,স্টুপিড,ননসেন্স- যাও এখান থেকে।'
ছেলেটি- এই তো বেশ কতকগুলো ইংরেজি ওয়ার্ড পেয়েছি- 'ইডিয়ট,স্টুপিড,ননসেন্স'।
এরপর সে গেল তার দিদির কাছে। দিদি কোথাও বেরোচ্ছিল।
ছেলেটি-- 'দিদি দিদি আমায় কতকগুলো ইংরেজি ওয়ার্ড বল না রে?'
দিদি--'I HAVE NO TIME'.
ছেলেটি-- 'বাঃ এই তো আবার কতকগুলো ইংরেজি ওয়ার্ড পেয়েছি' --'I HAVE NO TIME।'
এবার ছেলেটি গেল দাদার কাছে।দাদা বই পড়ছিল-'THE GREAT MAN'.
ছেলেটি-- 'দাদা দাদা আমায় কতকগুলো ইংরেজি ওয়ার্ড বল না রে?'
দাদা-- 'যা যা,আমায় এখন বিরক্ত করিস না।দেখছিস না? আমি এখন 'THE GREAT MAN'
বই পড়ছি!'
ছেলেটি-- ' বাঃ এই তো আবার কতকগুলো ইংরেজি ওয়ার্ড পেয়েছি--'THE GREAT MAN'।
শেষ পর্যন্ত সে তার মায়ের কাছে গেল।
ছেলেটি-- 'মা মা আমায় কতকগুলো ইংরেজি ওয়ার্ড বল না, বল না গো!'
মা-- 'আমি মুখ্যু সুখ্যু মানুষ।আমি কী করে কতকগুলো ইংরেজি ওয়ার্ড বলব! ওই কৌটোয় যা লেখা আছে,তাই দেখে নে।'
কৌটোয় লেখা ছিল ইংরেজি বড় বড় হরফে-- 'DALDA' .
ছেলেটি তাই দেখে স্কুলে চলে গেল।
শিক্ষক-- 'পড়া করে এসেছ? বল ইংরেজি ওয়ার্ড বল।'
ছেলেটি-- 'ইডিয়ট,স্টুপিড,ননসেন্স'।
শিক্ষক-- ' কী বললে? তোমার এত বড় সাহস!' শিক্ষক মহাশয় রেগে হেড মাস্টার মহাশয়ের কাছে নালিশ জানালেন।হেড মাস্টার মহাশয় ছেলেটিকে ডেকে আনতে বললেন।
শিক্ষক-- 'চল, তোমায় হেড স্যার ডাকছেন'।
ছেলেটি- 'I HAVE NO TIME'।
শিক্ষক অত্যন্ত রেগে হেড স্যারের কাছে গিয়ে সব ঘটনা বললেন। শেষে হেড স্যার নিজেই গেলেন ছেলেটির কাছে এবং বললেন 'তুমি নিজেকে কী মনে কর?'
ছেলেটি- 'THE GREAT MAN'।
হেড স্যার-- ''তুমি 'THE GREAT MAN' হলে,আমরা কী?"
ছেলেটি-- ''কেন? 'DALDA'' ।